বলিউড ডেস্ক : প্রীতি জ়িন্টা এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস— বলিপাড়ার দুই নায়িকা তাঁদের অভিনয়গুণে সাফল্যের চূড়ায় উঠেছিলেন। অন্য বলি তারকাদের সঙ্গে দুই অভিনেত্রীর ভাল সম্পর্ক থাকলেও দু’জনেই বড় পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন। বলিপাড়ায় কানাঘুষো চলে যে, প্রীতি এবং প্রিয়ঙ্কা একে অপরের কেরিয়ার নষ্ট করেছেন।
১৯৯৮ সালে মণিরত্নমের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘দিল সে’ ছবিটি। শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল প্রীতি জ়িন্টাকে। এই ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় হাতেখড়ি প্রীতির। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন অভিনেত্রী।
রোম্যান্স ঘরানার ছবি হোক বা ফ্যামিলি ড্রামা, সব রকম ছবিতে অভিনয় করে নিজের চরিত্রটি নিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন প্রীতি। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য হাসার সময় তাঁর গালে যে টোল পড়ে, তার জন্যও কম জনপ্রিয় ছিলেন না অভিনেত্রী।
প্রীতি যখন তাঁর কেরিয়ারের মধ্যগগনে, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০৩ সালে ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রথম কাজ করেন প্রিয়ঙ্কা। সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা ছিলেন ওই ছবির দ্বিতীয় অভিনেত্রী। প্রীতির সহ-অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রীতি যখন তাঁর কেরিয়ারের মধ্যগগনে, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন প্রিয়ঙ্কা। ২০০৩ সালে ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে প্রথম কাজ করেন প্রিয়ঙ্কা। সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা ছিলেন ওই ছবির দ্বিতীয় অভিনেত্রী। প্রীতির সহ-অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রথম হিন্দি ছবিতে যে অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন, সাধারণত তাঁর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবেন বলেই ভেবেছিলেন প্রীতি। কিন্তু এই দুই নায়িকার মধ্যে যে এক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই।
প্রিয়ঙ্কা বলিপাড়ায় আসার পর সাধারণত বহু তারকাসম্পন্ন ছবিতে অভিনয় করতেন। অন্য দিকে প্রীতি ছবির মূল নায়িকার ভূমিকায় চুটিয়ে কাজ করছিলেন। এই ছবি পাল্টাতে বেশি সময় লাগেনি। কর্ণ জোহর এবং শাহরুখ খানের ভাল বন্ধু ছিলেন প্রীতি। সেই সূত্রে দু’জনের সঙ্গে বেশি কাজ করতে দেখা।
কোনও ছবিতে মূল চরিত্রে হোক বা অতিথিশিল্পী, কর্ণ এবং শাহরুখ নায়িকা হিসাবে প্রথমে প্রীতিকেই নির্বাচন করতেন। তবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হয় ‘কৃষ’ ছবি মুক্তির সময়ে।
কোনও ছবিতে মূল চরিত্রে হোক বা অতিথিশিল্পী, কর্ণ এবং শাহরুখ নায়িকা হিসাবে প্রথমে প্রীতিকেই নির্বাচন করতেন। তবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হয় ‘কৃষ’ ছবি মুক্তির সময়ে।
২০০৩ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘কোই মিল গয়া’ ছবিটি। হৃতিক রোশনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি। এই ছবি মুক্তির ৩ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘কোই মিল গয়া’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব ‘কৃষ’।
২০০৩ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘কোই মিল গয়া’ ছবিটি। হৃতিক রোশনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন প্রীতি। এই ছবি মুক্তির ৩ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘কোই মিল গয়া’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব ‘কৃষ’।
কিন্তু ‘কৃষ’ ছবিতে হৃতিক রোশনের নায়িকা হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ‘কৃষ’ মুক্তি পাওয়ার পর এক লাফে কেরিয়ারে অনেকটা পার করে ফেলেন প্রিয়ঙ্কা। পরিচালকদের নজর তখন তাঁর দিকে ঘুরতে শুরু করেছে। একের পর এক কাজের প্রস্তাব পেতে থাকেন তিনি।
কিন্তু ‘কৃষ’ ছবিতে হৃতিক রোশনের নায়িকা হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ‘কৃষ’ মুক্তি পাওয়ার পর এক লাফে কেরিয়ারে অনেকটা পার করে ফেলেন প্রিয়ঙ্কা। পরিচালকদের নজর তখন তাঁর দিকে ঘুরতে শুরু করেছে। একের পর এক কাজের প্রস্তাব পেতে থাকেন তিনি।
২০০৯ সালে মুক্তি পায় ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ ছবিটি। এই ছবিতে সলমন খান, করিনা কপূর এবং প্রীতি জ়িন্টার মতো তারকারা অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু এই ছবিতে পরিচালক প্রেমরাজের প্রথম পছন্দ ছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
কর্ণ জোহর প্রযোজিত ‘দোস্তানা’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে। এই ছবিতে অভিষেক বচ্চন, জন আব্রাহামের সঙ্গে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
কর্ণ জোহর প্রযোজিত ‘দোস্তানা’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৮ সালে। এই ছবিতে অভিষেক বচ্চন, জন আব্রাহামের সঙ্গে কাজ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, এই ছবিতে প্রীতির অভিনয় করার কথা ছিল। তখন প্রিয়ঙ্কার হাতে প্রচুর ছবির কাজ। ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ ছবিতে অভিনয়ের কাজও অনেকটা এগিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কর্ণ জোহরের সঙ্গে কাজ করার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, এই ছবিতে প্রীতির অভিনয় করার কথা ছিল। তখন প্রিয়ঙ্কার হাতে প্রচুর ছবির কাজ। ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ ছবিতে অভিনয়ের কাজও অনেকটা এগিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কর্ণ জোহরের সঙ্গে কাজ করার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি।
প্রীতি ‘দোস্তানা’ ছবিতে কাজ করা শুরু করবে তা জানার পর প্রিয়ঙ্কা ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ছবির কাজ মাঝপথে ছেড়ে আসেন। ‘দোস্তানা’ ছবির কাজ প্রিয়ঙ্কা শুরু করলে প্রীতিকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ছবিতে প্রিয়ঙ্কার ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।
প্রীতি ‘দোস্তানা’ ছবিতে কাজ করা শুরু করবে তা জানার পর প্রিয়ঙ্কা ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ছবির কাজ মাঝপথে ছেড়ে আসেন। ‘দোস্তানা’ ছবির কাজ প্রিয়ঙ্কা শুরু করলে প্রীতিকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘ম্যায় অওর মিসেস খন্না’ছবিতে প্রিয়ঙ্কার ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।
‘দোস্তানা’ ছবিতে অভিনয় করার পর প্রিয়ঙ্কার জীবন নতুন মোড় নেয়। বলিপাড়ার উপরমহলের তারকাদের সঙ্গে তাঁর ভাল পরিচিতি গড়ে ওঠে। ক্যামিয়ো চরিত্র থেকে শুরু করে মূল নায়িকা হিসাবে বড় পর্দায় তখন রাজত্ব চলত প্রিয়ঙ্কার-ই।
‘দোস্তানা’ ছবিতে অভিনয় করার পর প্রিয়ঙ্কার জীবন নতুন মোড় নেয়। বলিপাড়ার উপরমহলের তারকাদের সঙ্গে তাঁর ভাল পরিচিতি গড়ে ওঠে। ক্যামিয়ো চরিত্র থেকে শুরু করে মূল নায়িকা হিসাবে বড় পর্দায় তখন রাজত্ব চলত প্রিয়ঙ্কার-ই।
এক সময় বলিউডে প্রীতি যে জায়গায় ছিলেন, প্রিয়ঙ্কা যেন ধীরে ধীরে সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছিলেন। ২০০৯ সালের পর প্রীতি অভিনয় থেকে দু’বছরের জন্য সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন।
বলিপাড়ার অধিকাংশের ধারণা, প্রীতির ব্যক্তিগত জীবনে টানাপড়েন চলছিল বলেই তিনি সিনেমাজগত থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রীতিকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন যে, আইপিএল-এর ‘কিংস ইলেভেন পঞ্জাব’ (অধুনা ‘পঞ্জাব কিংস’) দলের কাজে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে, তাঁকে সে সব সামলানোর জন্য ফিল্মজগত থেকে বিরতি নিতে হয়। সেই সময় নিজের প্রযোজনা সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।