পাওলি ধাম দুই বাংলার চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ।ঢালিউডের কিং শাকিব খানের সাথে ২০১৬ তে জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন সত্তা ছবিতে।ক্যারিয়ারের শুরুতে ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার পরিচালকের বাংলা ছবি ছত্রাক এ নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে হয়েছিলেন প্রবল সমালোচনার স্বীকার। এবার সেই ছবি এবং পর্দায় নগ্নতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজার এর সাথে।
পাওলি ধাম বলেন, ছোট বেলা থেকেই পাশ্চাত্যের ছবি দেখতে দেখতে পর্দায় নগ্নতা দেখা বা দেখানো নিয়ে কোনও নাক সিঁটকানো ব্যাপার ছিল না তাঁর। ‘টাইটানিক’-এর মতো জনপ্রিয় হলিউড ছবিতেও খুব সহজে নগ্নতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই ‘ছত্রাক’-এর একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য মুক্তি পাওয়ার পরে তাঁর নগ্ন হওয়া নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুনে ভীশন অবাক হয়েছিলেন পাওলি ধাম। তিনি ভাবতেই পারেননি যে দর্শক ছবিটি নিয়ে নয়, কেবল তাঁর নগ্ন হওয়া নিয়ে কথা বলবেন! পাওলির কথায়, ‘‘আসলে আমি তখন একদম নতুন। তাই সমগ্র পরিস্থিতিটা আমার কাছে খুব স্পষ্ট ছিল না।
’’ তবে একই সঙ্গে পাওলি মনে করেন, এর সবই তাঁর উপরি পাওনা। তাঁর হারানোর কোন কিছু নেই। কারণ তিনি তো ভাবতেই পারেননি যে তিনি অভিনেত্রী হবেন। পড়াশোনা করছিলেন, ভেবেছিলেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। কিন্তু তিনি অভিনয় করলেন, অন্য রাজ্যে পাড়ি দিলেন সেই পেশার জন্য, যশ খ্যাতি অর্জন করলেন— আর কী চাই? এখন তাঁর প্রথম প্রেম, চলচ্চিত্র। তাই এই সব কিছুকেই তিনি উপরি পাওনা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।
পরবর্তী কালে যদি নগ্ন দৃশ্যে আবারও অভিনয় করতে হয়, তিনি করবেন? পাওলির উত্তর, ‘‘যদি বুঝি, সেই চরিত্রটি জন্য আমার মন, আত্মা,আবেগ এবং শরীর একই জায়গায় এসে মিলেছে, তবে অবশ্যই করব। যে কোনও চরিত্রের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে নিজের কাছে এবং ওই চরিত্রের কাছে সমর্পণ করে দিই আমি। যদি সে রকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ আসে, যেখানে এই সব কিছু ঘটবে, তাহলে চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন হতে কোন আপত্তি নেই।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই ছবিতে নগ্নতাকে ভিষনভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়।কোন ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে এই ধরনের দৃশ্য থাকলে তার সেন্সর পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যায়।আর এই ধরনের নগ্ন চরিত্রে অভিনয় করাটা যে কোন তারকার ক্যারিয়ারের জন্য ঝুকিপূর্ণ বলে মানা হয়।