আজ প্রখ্যাত চিত্রনায়ক, প্রযোজক নায়ক মান্নার ১৪ তম মৃত্যবার্ষিকী।২০০৮ সনের এইদিনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যু বরন করেন।মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৪৩ বছর।নায়ক সালমান শাহের পর নায়ক মান্নার মৃত্য ছিলো বাংলাদেশের চলচিত্র অংগনে সবচেয়ে বড় আঘাত।আর সমালোচক দের মতে সেই আঘাত থেকে এখনো বাংলা চলচিত্র বের হয়ে আসতে পারে নাই।মান্নার মৃত্যুর সময় মান্না ছিলেন বাংলা চলচিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া নায়ক।
নায়ক মান্নার শুরুটা হয়েছিলো নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে ১৯৮৪ সনে।তার প্রথম অভিনীত ছবি কাজী হায়াতের পরিচালনায় পাগলী।যদিও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি তওবা।তার প্রথম আলোচিত ছবি কাজী হায়াতের দাঙ্গা।কাজী হায়াতকে মান্না গুরু মানতেন।কাজী হায়াত ও মান্না পরবর্তীতে জুটি হয়ে উপহার দেন ত্রাস,লুটতরাজ,আম্মাজান এর মত সব জনপ্রিয় ব্যবসাসফল ছবি।চব্বিশ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি প্রায় ৩০০ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি প্রযোজনায় তিনি সফল ছিলেন।তিনি কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি লুটতারাজ, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, আমি জেল থেকে বলছি, পিতা মাতার আমানতসহ মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বর্তমান চলচিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন জানান মান্না শিল্পী সমিতির সাধারন সম্পাদক ছিলেন।তার মৃত্যুবার্ষিকী তে শিল্পী সমিতি তার জন্য এক স্বরন সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়জোন করেছে।
এছাড়া মান্না ফাউন্ডেশনও বিশেষ স্মরণ সভার আয়োজন করেছে।